কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার রেলওয়ে থানাধীন ভৈরব-টঙ্গী ও ভৈরব-সরারচর ৮৯ কিলোমিটার রেলপথে গত এক বছরে ট্রেনে কাটা পড়ে ৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৮ জন পুরুষ, ২৫ জন নারী, একজন কিশোর ও একজন শিশু। নিহতদের বেশিরভাগই অজ্ঞাতপরিচয়। এসব মৃত্যুর ঘটনায় ভৈরব বাজার রেলওয়ে থানায় ৮৫টি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানায় রেলওয়ে পুলিশ।
ভৈরব বাজার রেলওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ৮৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ভৈরব রেলওয়ে থানাধীন ভৈরব-টঙ্গী ৭০ কিলোমিটার ও ভৈরব-সরারচর পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার রেলপথ। মোট ৮৯ কিলোমিটার এই রেলপথের সীমানায় রয়েছে ১৯টি রেলওয়ে স্টেশন। চলন্ত ট্রেনে ওঠানামা, অসতর্ক রেলপথ পারাপার, ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, দুই বগির সংযোগস্থলে বসে যাতায়াত কিংবা ট্রেনের দরজার হাতলে ঝুলন্ত অবস্থায় যাতায়াতকালে অসাবধানতা এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, অনেক যাত্রী আছেন, তারা অলসতা করে স্টেশনের রেললাইন পার হতে ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করেন না। অসতর্ক অবস্থায় রেললাইনের পাশ দিয়ে চলাচল করে থাকেন। অনেকেই রেললাইনে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলেন, কানে এয়ারফোন লাগিয়ে কথা বলেন। এ সময় ট্রেন আসতেথাকলেও সেদিকে খেয়াল থাকে না। মূলত এসব কারণেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি সাঈদ আহমেদ বলেন, যাত্রী ও পথচারীদের অসচেতনতা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণই এসব অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর কারণ। অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর হার কমাতে হলে ট্রেনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ রোধ করতে হবে।
বাংলাস্কুপ/ডেস্ক/এনআইএন